ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের দ্রুত অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। জুলাই মাসে লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে যাতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আলোচনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়, সে কথা মাথায় রেখেই এই আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি।

শনিবার রাতে এক ভাষণে ন্যাটোতে যত দ্রুত সম্ভব যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কিয়েভের প্রত্যাশার ব্যাপারটি পুনর্ব্যক্ত করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমরা জোটে যোগ দেওয়ার আগেই ইউক্রেনের জন্য কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রয়োজন।’ গত কয়েক বছর ধরেই ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে আসছে ইউক্রেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘ইউক্রেন আমাদের জোটের সদস্য হবে, কিন্তু একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে এতে লম্বা সময় লাগবে।’অন্যদিকে, দ্রুততম সময়ে জোটভুক্ত হওয়ার আবেদন জানিয়ে আসছেন জেলেনস্কি।

রাশিয়ার ভাড়াটে সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোসিন শুক্রবার এক ব্লগে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রিগোসিন লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে আদর্শ হবে, রাশিয়া তার পরিকল্পিত সব লক্ষ্য অর্জন করেছে এমন ঘোষণা দিয়ে বিশেষ সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা এবং কিছু ক্ষেত্রে আমরা সত্যিই সেগুলো অর্জন করেছি।’

৬১ বছর বয়সি প্রিগোসিন আরো লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার এবং সমাজের কল্যাণের জন্য এই বিশেষ সামরিক অভিযানের পুরোপুরি সমাপ্তি টানা প্রয়োজন।’ ইউক্রেন যুদ্ধকে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে উল্লেখ করে। অবশ্য এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করলে লুহানস্ক, দনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসন—ইউক্রেনের এই চারটি অঞ্চল রুশ দখলে নেওয়ার লক্ষ্য অর্জিত হবে না।

ওয়াগনার গ্রুপের সৈন্যরা এখন মূলত পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতের জন্য কয়েক মাসব্যাপী লড়াই করছে। ধারণা করা হচ্ছে কেবল এই একটি এলাকা দখলের লড়াইয়েই দুই পক্ষের ৬২ হাজারেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে। রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠীটি বাখমুতের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করলেও ইউক্রেন বরাবরই এই দাবি অস্বীকার করে আসছে।

রাকিব/এখন সময়